বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লালিত গণতন্ত্র নিয়েই দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন মানেই দেশে গণতন্ত্রের পুনরাগমন। দেশের জনগণ আজ তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক প্রস্তুতিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, “যারা দেশকে ভালোবাসে না, দেশের মঙ্গল চায় না, তারা দেখতে মানুষের মতো হলেও আসলে মানুষরূপী শয়তান। ১৯৪৭ সালে তারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে। এরা কখনোই দেশের শান্তি চায় না। কিছুদিন চুপ থাকলেও আবার তাদের নখ ও বিষদাঁত বেরিয়ে আসছে। এদের কার্যক্রম ধারাবাহিক।”
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সামনে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি টিকে থাকতে পারে না। যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা সাবধান হয়ে যান। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে—এরা কারা? এরা জাতির শত্রু। এদেরকে রুখে দিতেই হবে।”
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা একাধিকবার সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছি, আমরা সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু আমাদের সহযোগিতা না নিয়ে বরং দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে চলা হচ্ছে। যখন অগ্নিসন্ত্রাস, মব সন্ত্রাস চলছে, তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোথায়? উল্টো বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক—ভক্ষক নয়। আমরা হত্যা, গুম কিংবা মবের রাজনীতি করি না। তবে তার মানে এই নয় যে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো। ২০২৪ সালের অধিকার মানুষ রক্ত দিয়ে আদায় করেছে। আজ সেই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “শহীদ জিয়া যেভাবে বাকশাল ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেভাবে জনগণের পাশে থেকেছেন—এবারও বিএনপি জনগণের পাশে থাকবে। প্রয়োজনে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় আরও বক্তব্য দেন— ঢাকা-১০ আসনের মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৭ আসনের মনোনীত প্রার্থী হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা-৯ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী নবী উল্লাহ নবীসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

