আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর—মহান বিজয় দিবস। লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করার এই দিনে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশের স্মরণীয় ইতিহাস উদ্যাপন করছে দেশবাসী। ১৯৭১ সালের এই দিনে মরণপণ সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে শত্রুকে পরাজিত করে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা—যার কোনো তুলনা নেই। এটি জাতির জন্য চিরগৌরবময় ও অবিস্মরণীয় দিন।
তবে বিজয়ের আনন্দের পাশাপাশি দিনটি গভীর বেদনারও। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাংলা মায়ের অগণিত বীর সন্তান। অসংখ্য মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন, জানমালের ক্ষতি হয়েছে অপরিমেয়। কৃতজ্ঞ জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে আত্মদানকারী শহীদদের এবং সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপিত হচ্ছে। জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার এবং জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার প্রত্যয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পতাকা ও ফুল হাতে ঢল নামিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
বাসস জানায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর বাণীতে বলেন, ‘আসুন ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ে তুলি এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিজয় দিবস কেবল গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিন—একতাবদ্ধ থাকা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার শপথ।’
