Thursday, December 18

ইসলামী বক্তা কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম আবারও ব্যাপক আলোচনায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নতুন এক ভিডিওতে একাত্তরের প্রজন্মকে তিনি ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও ইতিহাস নিয়ে বহু বিতর্কিত দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই অনলাইনে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।

ভিডিওটিতে ইব্রাহিমকে বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে একাত্তরের মতো “মিথ্যুক প্রজন্ম আর নেই।” তার দাবি—তাদের নেতা থেকে কর্মী, সবাই নাকি “মিথ্যায় বিশ্বাসী”, এমনকি তাদের যুদ্ধও সত্য নয়, স্বাধীনতার গল্পও মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা নাকি হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টেই; এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে মূল লড়াই করেছে বাঙালিরাই। তার ভাষ্য অনুযায়ী, “বাংলাদেশিরা ৬০ শতাংশ লড়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছে, আর পাঞ্জাবী ও পাঠানরা করেছে ৪০ শতাংশ।” শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান—অনেকে নাকি এ লড়াইয়ে ভূমিকা রেখেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভিডিওর আরেক অংশে কাজী ইব্রাহিম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে “ভারতীয় চক্রান্ত” বলে দাবি করেন। তার কথায়, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর আবার যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল না; পুরো ৭১–এর ঘটনাই নাকি আগরতলা মামলার ধারাবাহিকতা। এমনকি পিলখানার ‘ডাল–ভাত বিদ্রোহের’ মতোই ৭১–কেও তিনি “ষড়যন্ত্র” হিসেবে দেখেন।

ভারতবিরোধী অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারতের বন্ধু যে-ই হোক, সে বাংলাদেশের শত্রু।” এ সময় ড. ইউনূসসহ যাদের ভারতপন্থী মনে করা হয়—তাদের বিচারের দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে বহুবার বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন কাজী ইব্রাহিম। ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর পুরোনো ভিডিওতেও পাওয়া যায় ইতিহাস বিকৃতির মতো মন্তব্য, যেগুলো নিয়েও সামাজিকমাধ্যমে উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়ে থাকে।

Leave A Reply


Math Captcha
37 − = 31