Monday, November 3

ঢাকা — বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে তার দল বর্তমানে নীরব প্রতিবাদ করছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “আমরা যদি প্রতিবাদ করি বা আমরা যদি মাঠে নামি, তাতে সরকার টিকে থাকবে কি না সন্দেহ, যার ফলে দেশে নির্বাচন অনিশ্চিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।”

রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, বিএনপি গত প্রায় ১৬ বছর ধরে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। তিনি আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, “আমরা সবাই তাদের ওপর আস্থা-বিশ্বাস রাখি, তারা যেন একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন জাতির সামনে উপহার দিতে পারে।”

তিনি প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস দেশে-বিদেশে এবং এমনকি দুই দিন আগেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে, যথাসময়ে নির্বাচন হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের আগে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সরকার সমাধান করবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলের বর্তমান কৌশল ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা যেহেতু একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন চাই, তাই হয়তো যেভাবে প্রতিবাদ করার কথা আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা সেভাবে প্রতিবাদ করছি না। কারণ আমরা যদি প্রতিবাদ করি বা আমরা যদি মাঠে নামি, তাতে সরকার টিকে থাকবে কি না সন্দেহ।”

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার জন্য তারা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের মূল লক্ষ্য হলো এই অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিশ্বাস করেন, “জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে সঠিকভাবে উপস্থিত হয়, সেখানে কোনো ধরনের নির্বাচন ভণ্ডুল করার সুযোগ থাকে না। কারণ জনগণ এটা রুখে দাঁড়াবে।”

Leave A Reply


Math Captcha
+ 27 = 32