নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের কয়টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সময় সংবাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আলোচনা চললেও এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নির্ধারণ হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন,
“এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে তবে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নিয়ে নির্ধারিত হয়নি। যে দলগুলোর সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছি, তাদের নিয়েই নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। আমরা সেই অবস্থান থেকেই কাজ করছি।”
তিনি আরও জানান, জোট হবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে ছিল, তারাই জাতীয় সরকারে শরিক হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত করে যুগপৎ আন্দোলনে নামে বিএনপি ও তার সহযোগী দলগুলো। ২৪-এর অভ্যুত্থানের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনায় আসে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য ঘোষণা আসার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো জোট ও আসন বণ্টন নিয়ে দেনদরবারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
ইসলামী দলগুলোর জোট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন,
“ইসলামী দলগুলোর জোট নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এনসিপি নির্বাচনে আসবে বলেছে, জামায়াতও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় এই ধরনের জোটের ব্যাপারে।”
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“মনোনয়নের ব্যাপারে এখনো কিছুই হয়নি। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাছাই করা হবে প্রার্থীরা। সময় হলে সবাইকে জানানো হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও বিএনপি তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

