Thursday, December 18

আমাদের প্রাণের ইসলামকে বাঁচানোর আকুল আবেদন নিয়ে আপনাদের কাছে লিখছি। দয়াময় আলাহতাআলা প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম সমগ্র মানবমন্ডলীকে সত্যভিত্তিক জীবনের পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান রুপে পবিত্র ইসলাম দান করেছেন। সীমাহীন ত্যাগ শাহাদাতের বিনিময়ে যুগ থেকে যুগান্তরে চিরশান্তির চিরকল্যাণের ইসলামকে আমাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন প্রাণপ্রিয় আহলে রাসূল আলাইহিমুস সালাম, মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন রাদিআল্লাহু আনহুম, উম্মেহাতুল মুমিনিন রাদিআল্লাহু আনহুন্না, মহান মকবুল সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম, হকের আইম্মায়ে কেরাম, মহান আওলিয়াকেরাম। নিকট ইতিহাসের কয়েক শতাব্দী ধরে সেই পবিত্র ইসলামকে শুধু কবরস্থই করা হয়েছে।
আমরা হয়তো ভাবছি দুনিয়াজুড়ে অসংখ্য অগণিত মসজিদ এবং সেই মসজিদে কোটি কোটি মুসল্লিতে ভরপুর, মাদ্রাসা থেকে অসংখ্য হাফেজ শায়েখ আলেম তৈরি হচ্ছে, প্রতিদিনই দুনিয়ার কোথাও না কোথাও নও মুসলিমের সন্ধান মিলছে, এত কিছুর পরেও ইসলামের কবর হয়েছে!!!
ইসলামের শুধু কবর রচনা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং এসব মসজিদ মাদ্রাসা যা কিছু আছে সবকিছুই “ভুয়া ইসলাম” “বাতিলের মনগড়া ইসলাম” “এন্টি ইসলাম” স্টাবলিশ করে রেখেছে যাতে করে কেউই প্রকৃত ইসলাম চিনতে না পারে, বুঝতে না পারে।
যদি তা না হয়, তবে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন ঈমান দ্বীন ইসলামের মূল প্রাণ পবিত্র কলেমার মর্মশিক্ষা কলেমাভিত্তিক আত্মপরিচয় জাতীয়তা জীবনচেতনা এবং কলেমার বিপরীত বস্তুবাদি কুফরি জাতীয়তাবাদের পার্থক্য কি দ্বীনের নামে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যাচ্ছে? বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বুঝলে ঈমানী জীবন অস্বীকার করে কেউ কি মুসলিম দাবি করে বস্তুবাদকে কবুল করতে পারত? কেই কি বস্তুবাদের বিষাক্ত বিভাজনকে স্বাধীন সার্বভৌমত্বের নাম দিয়ে খন্ড বিখন্ড দুনিয়াকে রাষ্ট্র নামে স্বীকার করতে পারত? “অমা আরসালনাকা মিনাল মুশরিকীন” এর অর্থ কি এক্তেদায়তু ভৌগলিক জাতীয়তাবাদ-ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ-লিঙভিত্তিক জাতীয়তাবাদ-বর্ণভিত্তিক জাতীয়তাবাদ???
একদিকে সব বাতিল চিনতে না দেওয়া অথচ যেখানে পবিত্র কোরআন শরীফে দয়াময় আলাহতাআলা যেখানে নির্দেশ দিচ্ছেন “লা তালবিসুল হাক্কা বিল বাতিল”, যেন আমরা হক বাতিল একাকার না করি, শুধু তাই নয় আরো বলা হচ্ছে তাকতুমুল হাক্কা ওয়া আনতুম তা’লামুন, হকের হয়ে বাতিলের বিরুদ্ধে সংগ্রামী হওয়ার দিশা নির্দেশ নিহিত রয়েছে উক্ত আয়াত শরীফে। আরেকদিকে হকের আত্মিক আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক পূর্ণাঙ্গ দিশা রুপরেখা কর্মসূচি না বুঝা আমাদেরকে শুধু ধ্বংসের দিকেই নিয়ে গেছে।
ইসলামের ছদ্মনামে ওয়াবীবাদী খারেজিবাদী সালাফিবাদী শিয়াবাদী মদুদিবাদী ইত্যাদি মোয়াবিয়াবাদী এজিদবাদী মোনাফেকী কুচক্রী ধারা পবিত্র কোরআন শরীফ হাদিস শরীফের অপব্যাখ্যা বিকৃতি করে নামাজ রোজা ইত্যাদি আমলের বাহ্যিক প্রদর্শনী দেখিয়ে সকলের ঈমান হরণ করে যাচ্ছে শুধু। সরলপ্রাণ মুসলিম জনতা কোন কিছু বিবেক বিবেচনা না করেই এসব ধোকাবাজদের কবলে পড়ে ভুয়া ইসলামের অনুসারীতে পরিণত হয়েছে।
কুনতুম খায়রা উম্মাতিন উখরিজাত লিন্নাস। সর্বকল্যাণময় আদর্শের ধারক উম্মত হিসেবে যেখানে সমগ্র মানবমন্ডলীর সুরক্ষা কল্যাণ দিশার জন্য এই উম্মতে উদ্ভব আজ সেখানে এই উম্মত নিজেরাই রক্তের সাগরে ভাসছে এবং জেনে বা অজান্তেই বাতিলের দালাল হয়ে মিল্লাত ও মানবতার ধ্বংসের কারণ হয়ে আছে। যদি তা না হয় তবে নিকট ইতিহাসে মিল্লাত মানবতার খুনের হিসেব কষুন এবং খায়রা উম্মাতিন হিসেবে দায়িত্বগত জায়গাটুকু খতিয়ে দেখুন। বেঈমানী বিশ্বাঘাতকতা ছাড়া কিছুই পাবেন না আর। মুমিনের কেন্দ্র কেবলাভুমিই তো বাতিল জালিমের জবরদখলে রেখে বেমালুম আমলের প্রদর্শনীতে ডুবে আছে এই ভুয়া উম্মত!
জীবন জগতের কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণের মূল নিয়ামক রাজনৈতিক ময়দান ঈমানীয়াত ও ইনসানিয়াত ধ্বংসাত্মক ইসলামের ছদ্মনামধারী বাতিল ফেরকা এবং বস্তুবাদী হিংস্র পাশবিক অমানুষদের হাতে তুলে দিয়ে নিজেদেরকে হয় এদের তাবেদার বানানো অথবা অরাজনৈতিক তথা বিকলাঙ্গ ঘোষণা করা পবিত্র কলেমার অঙ্গীকার আমানতের সাথেই বেঈমানী বিশ্বাঘাতকতা করা। সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে পৈশাচিক বর্বরতা দেখে ক্রুদ্ধ আর চোখের পানিতে ভাসার আগে আমাদের একবার অন্তত ভাবা দরকার যে এই খুনে রাজনীতির অংশীদার হিসেবে আমরা নিজেরা আছি কিনা।
দুনিয়ায় বর্তমানে বস্তুবাদী জাতীয়তাবাদের একক জাতিবাদি স্বৈররাজনীতি স্বৈররাষ্ট্র এবং ধর্মের নামে একক ধর্মবাদি স্বৈররাজনীতি স্বৈররাষ্ট্র কায়েম আছে। আমাদেরকে কলেমার রাজনৈতিক অধ্যায় খেলাফতে ইনসানিয়াত তথা সব মানুষের জীবন মালিকানা অধিকার স্বাধীনতা নিরাপত্তা রুটি রুজির সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্র ও সাম্যের অখণ্ড বিশ্ব মানবতার রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে হবে যার সুরক্ষায় কারবালার ময়দানে আমাদের প্রাণপ্রিয় ইমামে আকবার আহলে রাসূল আলাইহিমুস সালামগন জীবন উৎসর্গ করে কাফের এজিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
বিলুপ্ত হওয়া ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করে দ্বীনের মহিউদ্দিন রুপে দয়াময় আলাহতাআলা প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকে দুনিয়ায় সমগ্র মিল্লাতকে কলেমার প্রকৃত মর্মদিশায় মিল্লাতে ওয়াহেদার কাফেলা ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টে আহ্বান জানাচ্ছেন ঈমান দ্বীন কলেমার ইমাম #সৈয়দআল্লামাইমামহায়াতআলাইহি_রাহমা। আকিদার বিশুদ্ধতা ছাড়া নিজেকে মুসলিম দাবি করা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আকিদার ইমাম আল্লামা ইমাম হায়াত আমাদেরকে ইসলামের মূল বিশুদ্ধ আকিদার আলোকে তথা শাণে রেসালাতের ইসলামে প্রাণপ্রিয় আহলে রাসূল আলাইহিমুস সালামের অতুলনীয় অদ্বিতীয় আত্মত্যাগের মর্মদিশার চিরন্তন ইসলামে ফিরে আসার মাধ্যমে ইসলামকে বাঁচানোর মিশনে যুক্ত হতে আবেদন জানাচ্ছেন।
জীবনের ইমাম আল্লামা ইমাম হায়াতের দিক নির্দেশনায় দ্বীনের রাজনৈতিক ধারা খেলাফতে ইনসানিয়াত বিপ্লব তথা মানবজীবন ও মানবতা সুরক্ষার বিপ্লবে সব মানবিক মানুষকে সাথে নিয়ে ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন গড়ে তুলে জীবন ও জগতের উপর থেকে একক গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির অবৈধ কর্তৃত্ব হটিয়ে দয়াময় স্রষ্টার নামে স্রষ্টার মহান রাসূলের আলোকে জীবনের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র ও বিশ্বের সম্মিলিত অংশীদারিত্ব মালিকানা ফিরিয়ে আনতে হবে।
ইসলাম বাঁচাতে সমগ্র মিল্লাত ও মানবতাকে বাঁচাতে আত্মা ও জীবনের অপরিহার্য এই এবাদাতে শামিল হউন।
মুসলিম মিল্লাত ও মানবতার ইমাম আল্লামা ইমাম হায়াতের দিশা আলোকে

লেখক- মারুফ উদ্দিন
ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট, যুক্তরাজ্য
ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন, যুক্তরাজ্য

Leave A Reply


Math Captcha
15 + = 22