Tuesday, October 28

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করেছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদ্রাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

নিহত মাদ্রাসাছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩)। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। আটক অভিযুক্ত ছাত্র আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। প্রায় ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। মাদ্রাসার শিক্ষক বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও ছায়েদের মনে ক্ষোভ রয়ে যায়।

প্রতিশোধ নিতে ছায়েদ সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩০০ টাকায় একটি ধারালো ছুরি কিনে আনে। রোববার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় নাজিমকে জবাই করে হত্যা করে ছায়েদ।

নাজিমের গলা থেকে গোঙরানির শব্দ শুনে কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষকরা জেগে উঠে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং ছায়েদকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করে।”

তিনি আরও জানান, টুপি পরা নিয়ে পুরোনো বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave A Reply


Math Captcha
− 3 = 7