সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, সেফ এক্সিট বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন কোনো বিষয় নয়। অতীতেও হঠাৎ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা অনেকেই শেষ মুহূর্তে দ্রুত টাকা রোজগার করে বিদেশে পাচার করেছেন এবং সুবিধামতো বিদেশে পালিয়ে গেছেন। লন্ডন, আমেরিকা ও দুবাইয়ের বেগমপাড়ার মতো জায়গায় এর বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, “এ সরকার যখন ক্ষমতায় এলো, তখন নাহিদ, সারজিস, হাসনাতদের বড় অবদান ছিল। তবে আলটিমেটলি অনেকেই পালাতে চাইবে, কিন্তু সবাই পালাতে পারবে না। পালানোর জন্য যে কৌশল ও অভিজ্ঞতা দরকার, তা অর্জন করতে আরও ১০-১৫ বছর সময় লাগবে।”
রনির মতে, বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা অনেকেই অভিজ্ঞ এবং জীবনযুদ্ধে অনেক শিক্ষা নিয়েছেন। তবুও যদি কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকে এবং গণপিটুনির আশঙ্কা করে, তবে তার পালানোর সম্ভাবনা থাকতেই পারে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি এখন সংঘাতপূর্ণ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের গ্রেপ্তার ও শারীরিকভাবে হেনস্তার ঘটনা ঘটছে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “সালমান এফ রহমানের মতো ব্যক্তিকে ধরল, দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে দিল, হাতকড়া পরিয়ে পিঠমোড়া করে বাঁধল। আনিসুল হকসহ আরও দুজনের সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়েছে। এরপর তাদের নতুন লুঙ্গি পরিয়ে দেওয়া হলো—যেন একসঙ্গে সুন্নতে খতনা করানো হচ্ছে।”
গোলাম মাওলা রনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই যে নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, এটা কোনোভাবেই থামবে না। বরং আগামীতে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার চেয়েও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন অনেকে।”

