Thursday, October 30

জুলাই আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি না হলে ছয় সমন্বয়ককে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল—এমন দাবি করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল ১৯তম সাক্ষী হিসেবে তার জবানবন্দি রেকর্ড করে।

আসিফ মাহমুদ তার জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের ২৬ জুলাই গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তাকে ও আরও কয়েকজনকে ডিবি কার্যালয়ে তুলে আনা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়কদেরও সেখানে আনা হয় এবং আন্দোলন প্রত্যাহারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এমনকি পরিবারের সদস্যদের দিয়ে জোরপূর্বক ভিডিও বার্তা প্রচারেও বাধ্য করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ডিবি প্রধান হারুনুর রশীদ ও রমনা জোনের ডিসি হুমায়ুন কবীর বারবার জানাতেন যে, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই তাদের আটক ও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আন্দোলন না মানলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

৩২ ঘণ্টা আমরণ অনশনের পর ১ আগস্ট মুক্তি পান আন্দোলনের নেতারা। পরে তারা প্রকাশ্যে জানান যে, ডিবি কার্যালয়ে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভিডিও বার্তা নেওয়া হয়েছিল। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সরকারের পতন ও এক দফা কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।

৫ আগস্ট ভোর থেকে শুরু হয় ‘মার্চ টু ঢাকা’। চানখারপুল এলাকায় পুলিশের গুলিতে একাধিক আন্দোলনকারী আহত হন এবং অন্তত ছয়জন নিহত হন বলে জানান আসিফ মাহমুদ। নিহতদের মধ্যে আনাস, ইসমামুল ও ইয়াকুন ছিলেন।

তিনি এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি দায়ী করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানকে।

পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ হবে ১৫ অক্টোবর।

Leave A Reply


Math Captcha
24 − 17 =