রাজধানীর কাওরানবাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল ছাত্র-জনতা। পরে পাশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার–এর কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডেইলি স্টারের বিভিন্ন ভবনের ভেতরে এ সময় একাধিক ব্যক্তি আটকা পড়েন। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখ্যপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এর আগের রাত পৌনে ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনে ইন্তেকাল করেছেন ওসমান হাদি। পোস্টে বলা হয়, “ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে জানা গেছে, হামলার আগে কয়েক মাস ধরে ওসমান হাদির নিয়মিত চলাচল, বাসা ও অফিসের রুট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এই হামলার পেছনে কারা জড়িত এবং কার স্বার্থে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

