সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকের সামনে থেকে সাবিনা ওরফে বিথিকে আটক করেছে র্যাব–১১। পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব–১১ এর সিপিসি–২ এর কোম্পানি কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিথিকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের অপরাধ চক্রের আর্থিক লেনদেন, নেটওয়ার্ক পরিচালনা এবং পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় বিথির সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানায় সেনাবাহিনী।
এ ঘটনায় ২৮ মে হাতিরঝিল থানার এসআই আসাদুজ্জামান অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা ‘সেভেন স্টার গ্রুপ’ নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনা করত।
মামলার তথ্যমতে, সুব্রত বাইন একসময় খুন ও ডাকাতির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে এবং পরে ভারতে পালিয়ে যায়। ৫ আগস্টের পর দেশে ফিরে এসে পুনরায় খুন ও চাঁদাবাজিতে জড়ায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সহযোগী এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাসায় নিয়মিত বৈঠক করত তারা এবং সেখানে অস্ত্র ও অপরাধ সংগঠনের সরঞ্জাম মজুত রাখা হয়েছিল।
গত ১৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

