Friday, December 19

কুমিল্লার দেবিদ্বারে নাজমুল হাসান নামে এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা পরিচয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।

আটক নাজমুল হাসান দেবিদ্বার পৌর এলাকার ইকরা নগরীর প্রবাসী জালাল মিয়ার ছেলে এবং কুমিল্লা সিসিএন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেবিদ্বার পৌর সদরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন নাজমুল হাসান। তবে গত ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে তার বাবার মুদিখানার দোকান থেকে দেবিদ্বার থানার এসআই অজয় চক্রবর্তী তাকে আটক করেন। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর (রোববার) একটি নাশকতার মামলায় তাকে কুমিল্লা আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠান। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে দেবিদ্বার থানার নবাগত ওসি দাবি করেছেন, নাজমুল হাসান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য এবং ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ জানতে চাইলে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাজমুল হাসান বলেন, নাজমুল তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। অথচ পুলিশ একটি নির্দোষ ছেলের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কুমিল্লা উত্তর জেলা ও উপজেলার অনেক পদধারী নেতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।

এ বিষয়ে এসআই অজয় চক্রবর্তী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য যাচাই-বাছাই করে নাজমুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কমিটির কাগজপত্র তাদের কাছে নেই বলে তিনি স্বীকার করেন।

দেবিদ্বার থানার ওসি সারোয়ার হোসেন জানান, নাজমুল হাসান নামে এক যুবককে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, নাজমুল হাসান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা—এমন কোনো সাংগঠনিক প্রমাণ তার কাছে নেই।

Leave A Reply


Math Captcha
27 + = 36