বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সেনাসদস্য চুমকি আক্তার সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন। তার স্বামী সেনাসদস্য মো. ইকরামুল হোসেন জানান, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর চুমকি আক্তার শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। সেখানে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছোড়া গ্রেনেডের স্প্রিন্ট তার ডান হাত ও ডান পায়ে লাগে। আহত হওয়ার পর তাকে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, চুমকি আক্তার ও মো. ইকরামুল হোসেনের ইব্রাহিম আরাবী নামে দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার সময় চুমকি আক্তার তার সন্তানকে শাশুড়ির কাছে রেখে যান। তিনি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। নাতিকে আমার কাছে রেখে গেছে। তার ডান হাত ও পায়ে আঘাত লেগেছে এবং সে ওই দেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আরও জানান, তার স্বামী কৃষিকাজ করেন এবং তাদের কোনো ছেলে নেই।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ওই হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) ও লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।

