Saturday, December 20

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ধীরে ধীরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এবং নিয়মিত ডায়ালাইসিস প্রদান করা হচ্ছে।

মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য বৃহস্পতিবার জানান, বোর্ড তাঁকে দেশে রেখেই ঝুঁকিমুক্তভাবে চিকিৎসা দিতে চায়। খালেদা জিয়া বর্তমানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন, যেখানে আইসিইউর সমমানের লজিস্টিক সহায়তা রয়েছে। তাঁর কেবিনও সিসিইউর আদলে সাজানো হয়েছে।

চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী, সিসিইউর রোগীরা সাধারণত কথা কম বলেন কারণ প্রতি মুহূর্তে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। ডাকলে তিনি সামান্য কথা বলতে পারেন। আশা করা হচ্ছে, সকলের দোয়ায় তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন।

খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

গত কয়েক দিনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে গেছে। সেজন্য তাঁকে হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা ও বাইপাপ মেশিনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টেও নেওয়া হয়েছে।

২৭ নভেম্বর একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস ধরা পড়ে, যা এখনও নিবিড় চিকিৎসার আওতায় রয়েছে। শরীরে গুরুতর সংক্রমণের কারণে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হওয়ায় নিয়মিত ডায়ালাইসিস চালানো হচ্ছে। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও ‘ডিআইসি’র কারণে রক্ত ও রক্তের বিভিন্ন উপাদানও ট্রান্সফিউশন দেওয়া হচ্ছে।

Leave A Reply


Math Captcha
− 6 = 1