সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ১০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিন শওকত মাহমুদকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা—ডিবির রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ। তিনি তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন ও ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি ১১ ডিসেম্বর হবে বলে জানান।
এর আগে রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রমনা মডেল থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
মামলার পটভূমি
মামলার নথি অনুযায়ী, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং ২০০৪ সালে মার্কিন পাসপোর্ট পান। অভিযোগ রয়েছে—বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করতে তিনি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন।
১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় মিন্টো রোড এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় পুলিশ তাকে থামায়। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। এরপর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।
এই মামলায় এনায়েত করিমকে তিন দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি। পরে তার সহযোগী এস এম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ, এবং যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সাংবাদিক শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে একই মামলার ধারাবাহিকতায় এই গ্রেপ্তার ও আদালতের আদেশ আসে।

