ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আমির হাফেজ নুরুল্লাহকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।
নুরুল্লাহ তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মাওলানা আমজাদ হোসেনের ছেলে এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি এলাকার একটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক।
ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনা
জানা যায়, অচেনা এক নারীর সঙ্গে ভিডিও কলে আপত্তিকর অবস্থার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পাশাপাশি নুরুল্লাহ তার কর্মস্থল মাদ্রাসার এক ছাত্রের মায়ের (প্রবাসীর স্ত্রী) মোবাইলে আপত্তিকর বার্তা পাঠান বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে তিনি মারধরের শিকারও হন।
ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ও ভিডিও ফাঁস
স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ওই ঘটনার জবানবন্দির কিছু অংশ একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও আকারে প্রকাশ হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিওটি ডিলিট করা হয়। ভিডিওতে নুরুল্লাহকে বিব্রত ও মর্মাহত অবস্থায় খাটে বসে থাকতে দেখা যায়।
জামায়াতের সিদ্ধান্ত
ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি উপজেলা জামায়াত নেতাদের নজরে এলে তারা দ্রুত তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে নুরুল্লাহকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুস সালাম বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আমরা জানতে পেরেছি, ওই মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব ঘটনা রটিয়েছেন এবং নুরুল্লাহকে মারধর করেছেন।”

