Saturday, December 20

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। সোমবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)–কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরীক্ষা বন্ধ রেখে যে আন্দোলন করছেন, তা সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে। এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা নিয়ে কোনো ধরনের আপোস হবে না। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ এবং অভিভাবকদের উদ্বেগ কমাতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো জরুরি। এজন্য তিনি শিক্ষকদের দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষকদের নবম গ্রেডে পদোন্নতির দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, তারা চাকরিতে যোগদানের সময়ই জানতেন যে তারা দশম গ্রেডে থাকবেন। সুতরাং চাকরির শর্তের বাইরে গিয়ে নবম গ্রেডের দাবি অন্যায্য। তাছাড়া নবম গ্রেডে বিসিএস এডমিন ক্যাডারের কর্মকর্তারা থাকেন, ফলে এটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জটিল একটি বিষয়—যেখানে যেকোনো শিক্ষক হুট করে এই গ্রেড দাবি করতে পারে না।

অধ্যাপক আবরার অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালে তাদেরকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন, যা শিক্ষক হিসেবে চরম অনৈতিক আচরণ।

তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা তাদের অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করছি এবং বলছি আগামীকাল থেকেই পরীক্ষা নিন। অন্যথায় সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধি লঙ্ঘনের দায়ে যে শাস্তির বিধান রয়েছে, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”

Leave A Reply


Math Captcha
86 − = 85