জুলাই মাসের গণহত্যা মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত। একই সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যর্পণই প্রথম ধাপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “আমি বিশ্বাস করি, জুলাইয়ের ঘটনাবলীর অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে একদিন বাংলাদেশের আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। ভারত ইতোমধ্যে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ পরীক্ষা করছে।”
তিনি আরও বলেন, হাসিনার শাসনামলের নানা অপরাধের বিস্তারিত যতদিন যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও এসব বিষয়ে নতুন করে মনোযোগ দিচ্ছে। বিশেষ করে গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় ‘ঢাকার কসাই’ হিসেবে পরিচিত কামালের ভূমিকা আরও বেশি আলোচনায় আসছে।
শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, “কামাল বা অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা যত অর্থই ব্যয় করুক, চিরদিন দায় এড়ানো সম্ভব হবে না। আমরা জাতি হিসেবে যদি জুলাই গণহত্যার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচারের প্রশ্নে দৃঢ় থাকতে পারি, তাহলে যারা এসব ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের পক্ষে পরিণতি এড়িয়ে যাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠবে।”
তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন, বিচার প্রক্রিয়ার সূচনা হবে আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়ে, এরপর একে একে অন্যান্য দায়ীদের মুখোমুখি হতে হবে আইনের।

