আগামী ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, “যারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বুধবার ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে ‘বিজিবির নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ও মহড়া’ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজিবির বড় পরিসরের প্রস্তুতি
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে সারা দেশে বাহিনীটির ১,২১০ প্লাটুন সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবে। সন্দ্বীপ, হাতিয়া ও কুতুবদিয়া ছাড়া সব উপজেলাতেই বিজিবি মোতায়েন থাকবে। সীমান্তবর্তী ১১৫টি উপজেলার মধ্যে ৬০টিতে বিজিবি সদস্যরা এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
মহড়া দেখে সন্তোষ প্রকাশ
সিইসি বলেন,
“বিজিবির মহড়া খুবই বাস্তবধর্মী। নির্বাচনে কী ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবই প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, এটি তার তৃতীয় মহড়া পরিদর্শন। এর আগে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির মহড়াও দেখেছেন।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির পথে
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন,
“পরিস্থিতি এখনো পারফেক্ট নয়, তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের তুলনায় অনেক উন্নতি হয়েছে। ভোটের তারিখ আসতে আসতে আরও ভালো হবে।”
আগামী ৩০ নভেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক হবে, সেদিনই চূড়ান্ত ডিপ্লয়মেন্ট স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত
নির্বাচন কমিশন ঝুঁকি অ্যাসেসমেন্ট করে ভোটকেন্দ্রগুলোকে—
🔴 রেড জোন
🟡 ইয়েলো জোন
🟢 গ্রিন জোন
—এই তিন ভাগে ভাগ করেছে। সে অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
অন্য আলোচনা
উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত; নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
উপস্থিতি
মহড়া পরিদর্শনকালে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সিইসি বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

