Sunday, December 21

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও বরখাস্ত এসআই লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগির হোসেন পূর্ণাঙ্গ রায়ে সাক্ষর করে তা সংশ্লিষ্ট সেকশনে পাঠান। এখন আসামিদের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে আরও ছয় জন দণ্ডপ্রাপ্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।

গত ২ জুন ডেথ রেফারেন্স ও দণ্ডিতদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেক আসামির ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মেজর সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। দণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছেন এক উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের তিন সোর্স। মামলায় সাত আসামি খালাস পান।

ঘটনার পটভূমি
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। পাঁচ দিন পর তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আদালতে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর র‌্যাব ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে ঘটনাটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও আপিল করেন।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মাধ্যমে মামলাটি এখন আপিল বিভাগের পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে।

Leave A Reply


Math Captcha
+ 8 = 13