Sunday, December 21

লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনালের পর এবার চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। আগামী ডিসেম্বরেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপিওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তির লক্ষ্য নিয়ে গত ১৬ নভেম্বর দরপত্র মূল্যায়নের জন্য ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বন্দর পর্ষদের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব আলম তালুকদারকে।

এর আগে লালদিয়ার চরে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ডেনমার্কের মায়ের্সক গ্রুপের এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে গত সোমবার ঢাকায় ৩৩ বছরের কনসেশন চুক্তি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই দিন বিকেলে বুড়িগঙ্গা তীরে পানগাঁও নৌ টার্মিনাল ২২ বছরের জন্য সুইজারল্যান্ডের মেডলগ এসএ–এর হাতে দেওয়ার চুক্তিও সম্পন্ন হয়।

এবার এনসিটির ক্ষেত্রে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে বন্দর সচিব ওমর ফারুক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন।

বিচারাধীন থাকতেই প্রক্রিয়া এগোনো নিয়ে প্রশ্ন

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর–সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানি আজ বুধবার হওয়ার কথা। বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন এই রিট দায়ের করেন।

রিটকারীর আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “রিট শুনানির জন্য অপেক্ষামাণ থাকা অবস্থায় এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ আদালত অবমাননার শামিল।” তিনি দাবি করেন, আদালতে বিচারাধীন থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।

২৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের টার্মিনাল

২০০৭ সালে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল। ধাপে ধাপে টার্মিনাল নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বিনিয়োগ করা হয়েছে ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। বন্দরের আমদানি–রপ্তানির সিংহভাগ কনটেইনার এই টার্মিনাল দিয়েই পরিবহন হয়।

বর্তমানে টার্মিনালটি পরিচালনা করছে নৌবাহিনী–অধিভুক্ত চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। এখান থেকেই এটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এনসিটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া আদালতের সিদ্ধান্তের আগেই এগিয়ে নেওয়ায় বন্দর সংশ্লিষ্ট মহলে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

Leave A Reply


Math Captcha
73 + = 83