Monday, December 22

আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান বলেছেন, দেশে বিচারব্যবস্থা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে এবং “মনের অজান্তে সবাই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে”। মানবতাবিরোধী অপরাধে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে তিনি “তামাশা” আখ্যা দিয়েছেন। রায় ঘোষণার আগে একজন নিরপেক্ষ চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগেরও দাবি তুলেছেন তিনি।

রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন মো. তারেক রহমান।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশটাকে আমাদের ভালোবাসতে হবে সবার মতো করে। ক্ষমতার এই দাপট থাকবে না, হুংকারও থেমে যাবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকারই শক্তিশালী হতে পারে না।”

আইনজীবী তাজুল ইসলামদের সমালোচনা

ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় একসময় আসামির পক্ষ নেওয়া আইনজীবী তাজুল ইসলাম এখন নিজেই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার করছেন—যা তারেকের ভাষায় “হাস্যকর” ও “বিচারের প্রতি প্রতিশোধমূলক আচরণ”।

তিনি বলেন, “রায় ঘোষণার আগে একজন নিরপেক্ষ ব্যাক্তিকে চিফ প্রসিকিউটর করা হলে বিচার অধিক গ্রহণযোগ্য হবে।”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে হওয়া বিভিন্ন মামলারও সমালোচনা করেন মো. তারেক রহমান। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন—বিরাট হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ কি সম্পূর্ণ মিথ্যা?

তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের মামলাগুলোতে ৯০% অভিযোগই মিথ্যা। একেকটি ঘটনায় ১৫০-২০০ জনকে জড়ানো হয়েছে। যার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাকে বাদে সবাইকে মামলায় জড়ানো কি রাষ্ট্র প্রমাণ করতে পারবে?”

তারেকের দাবি, এই মিথ্যা মামলাগুলো জুলাইয়ের গ্রহণযোগ্যতা “কমিয়েছে”—বাড়ায়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, পুরো জুলাই মামলা এখন “নির্বাচনী ব্যয়ের উৎসে” পরিণত হয়েছে। তাজুল ইসলাম ও শিশির মনিররা “চালাকি করেছে” বলেও দাবি করেন তিনি।

তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “লোক দেখানো বিচার করতে দু-চারজন এমপি–মন্ত্রীকেও ফাঁসি দিয়ে দিতে পারে।”

নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে পোস্টে মো. তারেক রহমান বলেন,
“আমি চাই ন্যায়বিচার—আদালতে যেমন, ভোটের মাঠেও তেমন। জনগণের ভোটে কে ভালো আর কে খারাপ তার প্রতিফলন ঘটুক। ভোটে হারার ভয় থেকে প্রতিপক্ষকে মাঠের বাইরে রাখতে চাওয়া ফ্যাসিজম ছাড়া আর কী?”

তারেক রহমানের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

Leave A Reply


Math Captcha
12 + = 18