Thursday, October 30

রাজধানী: বাংলাদেশের উন্নয়নের দর্শন পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্রাক্টিসেস (কপ) নেটওয়ার্ক কনভেনশন ২০২৫—এমপাওয়ার: উইমেন ফর ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট সোসাইটিস (ফেজ টু)’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। পরিবারের নারীরাই সেই লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা দেন। নারীর অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা প্রতিদিন ঘরে ও সমাজে জলবায়ু সহনশীলতার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগ, দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও তারা হার মানেননি। নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।’

টেকসই উন্নয়ন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রান্তিক ও দুর্বল জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’

তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বৃহৎ আকারে সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন জেলার ১০ জন অদম্য নারীকে পুরস্কৃত করা হয়। পরে পরিবেশ উপদেষ্টা জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ক বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এতে দেশের ১০০টি নারী নেতৃত্বাধীন নাগরিক সংগঠন স্থানীয় পর্যায়ে পরিচালিত জলবায়ু অভিযোজন উদ্যোগ উপস্থাপন করে।

অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম বক্তব্য দেন।

শিল্পীরা পটের গানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি রোধে করণীয় বিষয়ও উপস্থাপন করেন।

Leave A Reply


Math Captcha
+ 86 = 96