রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রো স্টেশনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত হন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩৬)। তিনি চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানতলি এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিবার সকাল ১১টার দিকে ভাবি আসমা বেগমের সঙ্গে শেষবার কথা হয় আজাদের। তিনি বলেছিলেন, খুব শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হলো না তার। দুপুর ১২টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে ফার্মগেট এলাকায় যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গ্রামে মৃত্যুসংবাদ পৌঁছালে এলাকায় নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। নিহতের ভাবি আসমা আক্তার বলেন, “সকালে ফোনে বলেছিল শিগগিরই বাড়ি আসবে। কয়েক ঘণ্টা পর শুনি মৃত্যুর খবর। সংসারের হাল ও-ই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানরা কীভাবে বাঁচবে জানি না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চাই।”
চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার বলেন, “ছোটবেলা থেকেই পরিশ্রমী ছিল আজাদ। সংসারের হাল ধরেছিল সে-ই। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। সরকার যেন পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়।”
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

