Wednesday, October 29

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের মধ্যে গৃহযুদ্ধ (সিভিল ওয়ার) সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে গণ্ডগোল লাগানোর চেষ্টা করেছেন। সেনাবাহিনীকে উসকে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন, “তোমাদের অফিসারদের বিচার হচ্ছে, তোমরা কেন রুখে দাঁড়াচ্ছ না?” অর্থাৎ রাষ্ট্রের মধ্যে একটি সিভিল ওয়ার (গৃহযুদ্ধ) লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং জনগণ সেই ফাঁদে পা দেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা এখানে আসামি হয়েছেন—শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান—তাদের কারও মধ্যে অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। দুনিয়ার সবাই জানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তিনি নিজেও জানেন, কিন্তু কোনো অনুশোচনা নেই। বরং যারা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বা সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তাদের হত্যার ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এরকম নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ, পুরো প্রজন্মকে হত্যার চেষ্টা, ৩৫ হাজার মানুষকে আহত ও অঙ্গহানি করা—এর পরও সামান্যতম অনুশোচনা নেই। শিশু, নারী, মজুর, ছাত্র—সবাই ছিল সেই হত্যাযজ্ঞে। তারপরও তার (হাসিনা) বুক কাঁপেনি। সুতরাং সর্বোচ্চ শাস্তি তার প্রাপ্য।’

এর আগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়েছেন।

Leave A Reply


Math Captcha
+ 87 = 95