Thursday, October 30

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ২০২৪ সালের ঘোষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখনও পূরণ হয়নি এবং তাই দলের সামনে এখনো বড় লক্ষ্য রয়েছে — করাপ্টেড সিস্টেমের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যাওয়াই তাদের প্রধান কাজ। তিনি বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিন্টো রোডে আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সারজিস বলেন, “শৃঙ্খলার মধ্যে একটি স্পষ্ট চেইন অব কমান্ড থাকা অত্যন্ত জরুরি — এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকটি ইউনিট সংঘবদ্ধ হবে। যদি আমরা অন্তর দ্বন্দ্ব ও বিভাজন কাটিয়ে উঠতে পারি, তাহলে আমাদের ইউনিটের সদস্য সংখ্যা ও গুণগতমান যেকোনো দলের ছাত্র সংগঠনের চেয়েও বেশি হবে।” তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে ওই সদস্যরাই সংগঠনকে নেতৃত্ব দেবেন।

সভায় তিনি আরও সতর্ক করে বলেন যে ইউনিট আহ্বায়ক কমিটিতে কোনো সদস্যকে ‘মাই ম্যান পলিটিক্স’ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। সারজিস দাবি করেন, ছাত্র সংসদের কিছু পদে থাকা সদস্যদের মধ্যে যারা ব্যক্তিগত লোভ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, তাদের এনসিপি বা ছাত্র সংসদে আর কোনো অবস্থান থাকবে না — গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার সময় যথাযথ মূল্যায়নে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।

সারজিস আলম বলেন, “আমরা ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক যাত্রায় পা রেখেছি — আমাদের কাজ বড়, করাপ্টেড সিস্টেমকে শেকলবদ্ধ করা। আমাদের লক্ষ্য, সিস্টেমে যেন গা ভাসিয়ে দেওয়া না হয়।” তিনি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার ওপর জোর দেন।

সম্মেলনে ছাত্রসংসদের নেতৃত্ব পুনর্গঠন, ইউনিট বিস্তার ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থানীয় কমিটি গঠন, দায়িত্ব-বণ্টন ও আচরণবিধি প্রণয়নের মতো নানা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

Leave A Reply


Math Captcha
6 + 4 =