Thursday, October 30

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ● ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২২

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নে সদ্য ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। ঘোষণার মাত্র দুই দিন পরই সমালোচনার মুখে কমিটিটি স্থগিত করেছে জেলা এনসিপি।

জানা গেছে, ইউনিয়নের ৪০ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম—যিনি পূর্বে নেহালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সংগঠনটির অভ্যন্তরে তোলপাড় শুরু হয়।

বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে গত সোমবার (২০ অক্টোবর), ইউনিয়ন এনসিপি কার্যালয় উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতারা—সদর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মিজানুর আরেফিন, যুগ্ম সমন্বয়কারী আমির হোসেন, জেলা সদস্য তানভীর রহমান অনিক ও দর্শনা উপজেলা সদস্য সোহেল পারভেজসহ অনেকে।

পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সাইফুল ইসলামের নাম ও তাঁর আগের রাজনৈতিক পরিচয়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জেলা এনসিপির নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষোভ ও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এ অবস্থায় বুধবার (২২ অক্টোবর) জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার বিপ্লবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নেহালপুর ইউনিয়ন কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,

“জাতীয় নাগরিক পার্টি, চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন কমিটি অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। পরবর্তী অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত এই কমিটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”

খাজা আমিরুল বাশার বিপ্লব বলেন, “স্থানীয়ভাবে কয়েকজন ছবিসহ তথ্য দিয়েছেন যে নবঘোষিত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম আসলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বিষয়টি আমি আগে জানতাম না। যাচাই-বাছাই শেষে কমিটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তিনি জানান, আগামী শনিবার জেলা কমিটির নেতাদের নিয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

অন্যদিকে, কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী তুহিন বলেন, “সাইফুল ইসলাম আগে আওয়ামী লীগ করতেন, এটা সত্য। তবে এখন তিনি এনসিপির সঙ্গে কাজ করতে চান। কমিটি স্থগিতের বিষয়ে আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিনি।”

Leave A Reply


Math Captcha
− 2 = 8