ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রোববার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে আদালতে আবেদনটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান।
যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
মামলার এজাহার ও দুদকের আবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এ চুক্তি সম্পাদন করা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সিএনএস লিমিটেডকে নির্দিষ্ট অংকের অর্থের পরিবর্তে মোট আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ (ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত) প্রদান করা হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে।
অথচ ২০১০ থেকে ২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে ব্যয় হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর দুদক শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা দেশত্যাগ করতে পারেন— এমন তথ্য বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া গেছে। এতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন।
চাইলে আমি এটি

