ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সল করিম মাসুদের স্ত্রী, শ্যালকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই তিনজনকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহম্মেদ। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশীতা ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, অভিযুক্তরা মূল আসামিদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়েছেন। তারা একসঙ্গে ছিল এবং বর্তমানে তারা কোথায় রয়েছে—এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, বিষয়টি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত।
আসামিপক্ষে শুনানিতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে সক্রিয় ওসমান হাদির ওপর এই হামলাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফয়সল করিম মাসুদ ও শেখ আলমগীর নামে দুজনকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তারা দুজনই দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফয়সলের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে র্যাব গতকাল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তার স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করে পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠায়।
এ ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ জাবের বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ফয়সল করিম মাসুদকে। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।

