Saturday, December 20

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দু–একটা খুনখারাবি হয়। হাদিকে গুলির ঘটনাও বিচ্ছিন্ন। নির্বাচন এলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।’

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে।

সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখি। এ ধরনের ঘটনা আগেও ছিল। আগে কি আহসানউল্লাহ মাস্টার খুন হননি? সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেব খুন হননি? নির্বাচন এলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকে। বাংলাদেশে এগুলো নতুন কিছু নয়। বরং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখবেন, তখন থানাগুলো কার্যত অকার্যকর ছিল, পুলিশ স্টেশনও নড়ছিল না। সেই সময়ের তুলনায় এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আমরা শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি, রাস্তায় চলতে পারছি, শান্তিতে ঘুমাতে পারছি।’

নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ইনশা আল্লাহ নির্বাচন হবে এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়েই হবে। যেকোনো দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। সবাই মিলে প্রস্তুতি নিই, যাতে একটি সুন্দর নির্বাচন করা যায়।’

জাতিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডাকযোগে (পোস্টাল ব্যালট) ভোটের আওতায় আনা হয়েছে। ৫৪ বছরে যা হয়নি, এবার তা হচ্ছে। প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, যারা এতদিন ভোট দিতে পারতেন না, এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।’

সিইসি জানান, কারাবন্দি, প্রবাসী এবং নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি কর্মচারীদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে একটি গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ‘এই সাহসী উদ্যোগ সফল করতে তরুণ প্রজন্মসহ সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন একা পারে না—সবাইকে নিয়েই আমরা এটি করব।’

Leave A Reply


Math Captcha
30 + = 35