ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ওমরাহ করানোর প্রলোভন দেখিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি এক ভোটারকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি যদি এমপি নির্বাচিত হন, তবে ওই ভোটারকে নিয়ে ওমরাহ করতে যাবেন।
নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ভোটারদের প্রভাবিত করতে অর্থ, উপহার বা কোনো ধরনের প্রলোভন দেখাতে পারেন না। তবে অভিযোগ উঠেছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জামায়াত প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হলে ভোটারদের ওমরাহ করানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
ওমরাহর প্রলোভনে ভোট চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুরাদনগরে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সচেতন নাগরিকদের একটি অংশ বিষয়টিকে ভোটারদের সঙ্গে মশকরা ও প্রতারণা হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে নবীয়াবাদ আব্দুল ওয়াদুদ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম বলেন, “কাউকে ওমরাহতে নিয়ে যাওয়া সওয়াবের কাজ। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে বা ভোটের বিনিময়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রতারণা। আগে জান্নাতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত, এখন ওমরাহতে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে—এগুলো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।”
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা-৩ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমান বলেন, “নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী এ ধরনের প্রলোভন দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকে, তাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।”

