Saturday, December 20

আজ ৯ ডিসেম্বর, বেগম রোকেয়া দিবস। নারীর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের অসামান্য অবদান স্মরণে প্রতিবছর এ দিবস পালিত হয়। নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় তিনি এখনও অনন্ত প্রেরণার উৎস।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়ে নারীমুক্তি ও মানবাধিকার আন্দোলনে বেগম রোকেয়ার ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম রোকেয়া অন্ধকারাচ্ছন্ন রক্ষণশীল সমাজের নারীদের শিক্ষা ও অধিকারের পথে নিয়ে এসে নারীমুক্তির ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পিছিয়ে থাকা নারীদের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি ছিল শিক্ষা—এ উপলব্ধি থেকে তিনি নারীশিক্ষা বিস্তারে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় জীবনে অসামান্য অবদানের জন্য চার বিশিষ্ট নারীকে প্রদান করা হবে বেগম রোকেয়া পদক।

আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধান উপদেষ্টা চার নারীর হাতে পদক তুলে দেবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

এ বছর পদকপ্রাপ্তরা হলেন—

  • নারীশিক্ষা (গবেষণা): রুভানা রাকিব
  • নারী অধিকার (শ্রম অধিকার): কল্পনা আক্তার
  • মানবাধিকার: নাবিলা ইদ্রিস
  • নারী জাগরণ (ক্রীড়া): ঋতুপর্ণা চাকমা

সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক ও নারী জাগরণের এই অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীও আজ। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে জন্ম নেওয়া রোকেয়া ১৯৩২ সালের একই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। নারীশিক্ষা, প্রগতিশীল চিন্তা ও মানবমুক্তির সংগ্রামে তার অবদান আজও স্মরণীয় ও প্রাসঙ্গিক।

Leave A Reply


Math Captcha
− 4 = 1