Saturday, December 20

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪.৯ এবং উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের ফালামে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০৬.৮ কিলোমিটার।

ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য মেলেনি।

ভূমিকম্প সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) তাদের সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাচুয়াং। গভীরতা এবং মাত্রা—উভয় তথ্যই ইউএসজিএসের সঙ্গে মিল রয়েছে।

ইএমএসসির তথ্যে প্রভাবিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়েছে মিয়ানমারের সাগাইং, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট অঞ্চল।

বিশেষজ্ঞরা জানান, মিয়ানমার ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের একটি, কারণ দেশটি ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এ দুটি প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানা ‘সাইগং ফল্ট’ নামে পরিচিত, যা প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহরসমূহের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে—যা লাখো মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর প্রভাব পড়ে থাইল্যান্ডসহ বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পের নজির নেই।

এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Leave A Reply


Math Captcha
60 − = 53