Sunday, December 21

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ফের বুলডোজার আনার ঘটনায় সৃষ্ট বিক্ষোভে যোগ দিতে গিয়ে বিরূপ মন্তব্যের শিকার হয়েছেন ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া। পরীমনির সঙ্গে তুলনা করায় তিনি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন এবং পরবর্তীতে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।

গতকাল (সোমবার) ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রাফিয়া পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়লে পাশ থেকে একজন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছেন এখানে?”

এমন মন্তব্যে রাফিয়া তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি বারবার জানতে চান কে এই কথা বলেছে এবং পুলিশের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলতে থাকেন, “আপনাদের কেন মনে হয়েছে আমি পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছি?”

এই ঘটনার পর রাফিয়া তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন, যেখানে তিনি ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়ানোর ইচ্ছা নেই বলে জানান। রাফিয়া লিখেছেন, “দেখেন, একটা স্পষ্ট কথা বলি, ভবিষ্যতে আমার রাজনীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। জামায়াত, বিএনপি সবেতেই আমি ডিজাপোয়েন্টেড। এনসিপির প্রতি আশা ছিল, সেই আশা আস্তে আস্তে নিভতেসে। ‘মন্দের ভালো’ বলে কোনো দলের সাথে আমি যাব না।”

ডাকসুর এই সদস্য আরও বলেন, “যত দিন মজলুমের ওপর লাঠিচার্জ হবে, যত দিন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা সিন্দাবাদের ভূতের মতো আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের ঘাড়ে সাওয়ারি হয়ে থাকবে, তত দিন আমি জালিমের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। আমার কোনো দল নাই, রাজনৈতিক কোনো স্বার্থ নাই। শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া আমার কোনো উদ্দেশ্যও নাই।”

রাফিয়ার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। তাঁর অনুসারীরা তাঁর প্রতি সমর্থন জানালেও, কেউ কেউ মনে করছেন, এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা হতাশাজনক।

Leave A Reply


Math Captcha
4 + 1 =