Monday, December 22

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের তৃণমূল সাংগঠনিক শক্তি ভেঙে গেছে বা প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিশে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে—দলটির বাস্তব সংগঠিত শক্তি এখন খুবই সীমিত, ফলে নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোর মতো ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি লিখেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে এবং সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনেও পরিণত হতে পারে। তার মতে, তিনটি সাম্প্রতিক ঘটনা এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করেছে।

প্রথমত, বিএনপি তাদের সংসদীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী বিক্ষোভে নামতে পারেন অথবা মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে। কিন্তু এক-দুটি সামান্য ঘটনা ছাড়া প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শান্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে বোঝা যায়, বিএনপি নেতৃত্ব পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে এবং দলের ভিতরে সংঘর্ষের আশঙ্কা খুবই কম।

দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের সক্ষমতার সীমা এখন স্পষ্ট। দীর্ঘদিন দলটি শক্তিশালী তৃণমূল নেটওয়ার্ক থাকার দাবি করলেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখিয়েছে যে তাদের সংগঠিত শক্তি অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। শফিকুল আলমের মতে, দলটি এখন ভাড়াটে ক্ষুদ্র দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা ফাঁকা বাসে আগুন দেওয়া, অল্প সময়ের ঝটিকা মিছিল বা অনলাইনে ভুয়া প্রচারণা চালানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। মাঠপর্যায়ে তাদের প্রকৃত উপস্থিতি খুবই কম।

তৃতীয়ত, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল, এবং পুলিশ–নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন আগের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংগঠিত। ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি—সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা সমন্বিতভাবে কাজ করছেন বলে জানান তিনি। তার দাবি, সবচেয়ে দক্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচন তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তারা সুশৃঙ্খল নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।

সব মিলিয়ে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস।

Leave A Reply


Math Captcha
4 + 5 =