ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র মধ্যে ই-পেমেন্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ফি সংগ্রহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএইচআরও ড. মো. কামাল উদ্দিন জসিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব যশোর জোন মো. শফিউল আজম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এ.য়াকুব আলী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী, আইআইইআর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় ড. মো. কামাল উদ্দিন জসিম বলেন, “আজকের এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী ব্যাংকের সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে অটুট থাকবে। অনলাইন পেমেন্ট কার্যক্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় আরও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠবে। পাশাপাশি বিভিন্ন মাল্টিডাইমেনশনাল ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশও এগিয়ে যাবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি ছিল অনলাইন পেমেন্টের সুযোগ নিশ্চিত করা। আজকের দিনটি সেই দাবির বাস্তব রূপ দেখার ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইসলামী ব্যাংক এ উদ্যোগে সহযোগিতা করায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য বড় কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই আমি দাবি করছি—কমপক্ষে একশত শিক্ষার্থীকে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্কলারশিপ প্রদান করা হোক। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার, লাইব্রেরি ও ল্যাবরেটরির উপকরণ স্বল্পতা রয়েছে। আমি চাইব, অন্তত একশটি কম্পিউটার তারা সহায়তা হিসেবে প্রদান করুক।”
উপাচার্য শেষে বলেন, “এই অর্জনের কৃতিত্বের আশি শতাংশ আমি আমাদের শিক্ষার্থীদের উৎসর্গ করছি। তাদের দাবির কারণেই আজ আমরা এই সাফল্য দেখতে পাচ্ছি। আইসিটি সেলকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলছি, যেন শিক্ষার্থীরা অচিরেই এ সুবিধা ভোগ করতে পারে।”
মো: মোসাদ্দেক হোসেন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

