Tuesday, November 4

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ঢাকা রিপোর্ট

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির পর থেকে সেখানে মানবিক ত্রাণ সরবরাহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ২৪ হাজার টনেরও বেশি ত্রাণসামগ্রী গাজায় প্রবেশ করেছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, এই সময়ে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিসহ নানা ধরনের ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার টন খাদ্যসামগ্রী গাজায় পৌঁছেছে, যা গত মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

ত্রাণ প্রবেশের প্রধান কয়েকটি ক্রসিং পয়েন্ট এখন আংশিকভাবে সচল রয়েছে। যুদ্ধবিরতির ফলে সীমান্তপথে কনভয় চলাচল বাড়লেও এখনও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পথ সম্পূর্ণভাবে খোলা হয়নি। উত্তর গাজা ও অন্যান্য অঞ্চলে নতুন করে চালু করা হয়েছে শিশু ও নারীদের জন্য অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র, যেখানে পুষ্টিহীনতা ও আঘাতপ্রাপ্তদের প্রাথমিক সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, শুধুমাত্র ত্রাণ পাঠানো যথেষ্ট নয়—এর সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করাও জরুরি। এজন্য আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওগুলোকে বিতরণ প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

তারা বলেছে, “ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে স্থানীয় এনজিও ও মানবিক সংস্থাগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কার্যকর সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। অনুমোদন ও প্রবেশাধিকারে যেসব জটিলতা আছে, তা দ্রুত সমাধান করতে হবে।”

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ—গাজায় প্রবেশের অনুমোদন পেতে এখনও সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে, যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা আটকে আছে।

যদিও যুদ্ধবিরতির ফলে ত্রাণ সরবরাহের গতি বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে, তবে জাতিসংঘ বলছে, বর্তমান সরবরাহ গাজার বিপুল মানবিক চাহিদা পূরণে এখনো যথেষ্ট নয়।

গাজায় চলমান সংঘাত ও যুদ্ধবিরতির এই সময়টিকে জাতিসংঘ ‘সংকট সামলানোর সূচনা’ হিসেবে দেখছে, তবে পূর্ণ পুনর্গঠনের জন্য আরও দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।


সূত্র:
[UN & WFP reports on Gaza relief – Dunya News, El País, NRC]
(সম্পাদনা: ঢাকা রিপোর্ট আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

Leave A Reply


Math Captcha
− 1 = 1