আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় দলটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হলে দেশে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে তিনি ভারতে অবস্থান করবেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স–কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। জুলাই মাসে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৫ আগস্ট তিনি ভারতে আশ্রয় নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগকে যদি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়া হয়, তবে দলের লাখো সমর্থক ভোট বর্জন করবে। আমরা আমাদের সমর্থকদের অন্য দলকে সমর্থন করতে বলছি না। তবে আমরা এখনো আশাবাদী—শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাব।”
এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ তদন্তের স্বার্থে দলটির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। গত মে মাসে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করে।
বর্তমানে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমত দমন ও ছাত্র আন্দোলনে সহিংস দমনপীড়নের ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এ ঘটনায় তার সময়কার পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়ে গেছেন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা আন্দোলনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত এবং সহস্রাধিক মানুষ আহত হন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত। রয়টার্স বলছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা।
		
