বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরও আপিল বিভাগে শুরু হয়নি কার্যক্রম। এমন তথ্য জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাষ্ট্রের উচিত দ্রুত এ মামলার বিচার সম্পন্ন করা এবং আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া।”
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। এরপর তার মরদেহ ফেলে রাখা হয় সিঁড়িতে। পরদিন আবরারের বাবা তৎকালীন বুয়েট ছাত্রলীগের ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রায় দুই বছর পর বিচারিক আদালত রায়ে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। চলতি বছরের মার্চে হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। তবে আসামিপক্ষ রায়ে ত্রুটি আছে দাবি করে আপিল করে, যা এখনো আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, আপিলের নথি হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করেন, এমন আলোচিত মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হলে তাতে অপরাধীরা সুবিধা পায় এবং ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন হয়।
এদিকে আবরারের স্মৃতি ধরে রাখতে বুয়েট শেরেবাংলা হল প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হয়েছে একটি স্মৃতিফলক, যেখানে তার সাহস ও ত্যাগের স্মরণে শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।