বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জনগণ আর পুরনো মুখে নতুন প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়বে না। তিনি বলেন, “নতুন মোড়কে পুরাতন মতবাদ জনগণ আর গ্রহণ করবে না। ভোট চাইতে এলে প্রশ্ন করতে হবে—দেশ কীভাবে দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।”
সোমবার রাজধানীর জিগাতলায় জামায়াতে ইসলামীর এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, যারা সরকারে থেকে দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে, কানাডায় ‘বেগমপাড়া’ গড়েছে এবং লন্ডনে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, তারা এখন যতই নীতি কথা বলুক—এসব কেবলই জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার অভিনয়।
তিনি বলেন, “কথার ধোঁকায় পড়ে জনগণ আর ভোট দেবে না। এবার ভোট হবে কর্মকাণ্ড দেখে—কারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, আর কারা জনগণের পাশে আছে তা সবাই জানে।”
তার দাবি, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যারা নদীর বালু, পানি ও পাথর লুট করেছে, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তিনি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, “দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করতে হবে।”
স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থদের কাছ থেকে জবাব দাবি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা অতীতে সরকারে ছিল, তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে কেন এখনো মানুষ বঞ্চিত।”
জামায়াতে ইসলামীকে দুর্নীতিমুক্ত দল দাবি করে ড. মাসুদ বলেন, “আমাদের সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দুই টাকার দুর্নীতির প্রমাণও কেউ দিতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের নেতারা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। যারা আল্লাহকে ভয় করে, তারা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বা জনগণের সম্পদ লুট করে না।”
রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভা শেষে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে ঢাকা-১০ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে লিফলেট বিতরণ করেন এবং পথচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।