এনসিপি নেতাদের আচরণে ঔদ্ধত্য ও অহমিকার প্রকাশ ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, তাদের ব্যবহারে মনে হচ্ছে যেন তাঁরা সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুর বলেন,
“মনে হচ্ছে আমরা নাকি জোট করার জন্য, মন্ত্রী-তন্ত্রী হওয়ার জন্য তাদের পেছনে লাইন ধরব!”
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন,
“গ্রামে একটা কথা আছে—অল্প পানির মাছ হঠাৎ বেশি পানিতে পড়লে কী করবে বুঝে পায় না। অথবা অল্প পয়সার মালিক হঠাৎ করে ধনী হয়ে গেলে বিড়াল-কুকুর নিয়ে রাস্তায় ঘোরে, যেন সবাই জানে সে এখন ধনী।”
নুরের দাবি, এনসিপির কিছু অংশ একীভূত রাজনীতি চায় না—
“আমি দেখলাম আমাদের এনসিপির ছোট ভাইয়েরা, কিংবা কিছু সমসাময়িক বন্ধু, তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার বোঝা যায়—তাদের মধ্যে একাংশ নিজেদের নেতাগিরি টিকিয়ে রাখতে চায়, তাই এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের একীভূত হওয়া তারা চায় না।”
তিনি আরও বলেন,
“এনসিপির মূল নেতৃত্ব—আক্তার ও নাহিদ—২০১৯ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদের আমাদের প্যানেল থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। অর্থাৎ শুরু থেকেই তারা আমাদের নেতৃত্বকে স্বীকার করে এসেছে।”
অসুস্থতা সত্ত্বেও এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের একীভূত হওয়া নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে নুর বলেন,
“আলোচনায় শীর্ষ পর্যায়ের বেশিরভাগ নেতা উপলব্ধি করেছেন—এই গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণরা যদি রাজনীতিতে অবস্থান নিতে না পারে, তাহলে পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতিই আধিপত্য বিস্তার করবে। তরুণদের টাকা নেই, পেশিশক্তি নেই, তারা কোণঠাসা হয়ে পড়বে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন,
“এইভাবে চললে এনসিপি হারিয়ে যাবে, অনেকেই দেশে টিকতে পারবে না। তাই বাস্তবতা উপলব্ধি করে যদি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, সেটা আমাদের সবার জন্যই ভালো হবে—দেশের জন্যও।”
নুরুল হক জানান, গণ অধিকার পরিষদ ঐক্যের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে।
সূত্র: সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন